রাষ্ট্র কিছুই হারায়নি শুধু আমরা চিকিৎসকরা হারিয়েছি এফসিপিএস ও এমডি কমপ্লিট করা মানবিক একজন স্যারকে
প্রথমতঃ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন পিপিই ছাড়াই চিকিৎসা দিতে, এবার হয়েছেতো? আমরা সিলেটবাসী গরীবের ডাক্তার বলে পরিচিত এই রত্নকে হারিয়েছি, যে ডাক্তার নিজেই একটি আইসিইউ এর দায়িত্বে ছিলেন অথচ তার প্রয়োজনে তারই কর্মস্থলে আইসিইউ পাননি। শুধু তাই নয় তাকে ঢাকায় প্রেরন করার জন্য একটি এয়ার এম্বুলেন্স কেউ দেয়নি! আজ সেই মানব সেবক মারা গেছেন।এই তাহলে তিনমাস আগে থেকে নেয়া করোনা মোকাবেলার প্রস্তুতি? যেখানে পর্যাপ্ত পিপিই নেই, সিলেটে একটিও ভ্যান্টিলেটর নেই, এয়ার এম্বুলেন্স নেই,ICU নেই! এই দায়ভার কার?
★একজন সহকর্মীর ভাষ্য মতে, তার ব্যক্তিত্যের খন্ডক মাত্র তুলে ধরা হলোঃ
স্মৃতি খুব কষ্টের, মঈন স্যারের ইন্টার্ন ছিলাম, ইন্টার্নশিপ শেষ হলে স্যার যে হাসপাতালে চেম্বার করতেন ঐ হাসপাতালে ডিউটি ডক্টর ছিলাম।একদিন রাত ২টায় এক রোগী ভর্তি হলো প্রচন্ড খিচুনি নিয়ে। রিসিভ করেই স্যারকে ফোন দিলাম, স্যার ফোন ধরেই বললেন" ফজলুর আমিতো প্রায় বাসায় চলে আসছি,ম্যানেজ করতে পারবা না? আমি আমতা আমতা করে বললাম, স্যার ডায়াজিপাম দিয়েছি,রোগীটা খারাপ এখনও খিচুনি হচ্ছে দেখে গেলে ভালো হত স্যার। স্যার ওভার ফোনে কি কি করতে হবে কিছুক্ষণ বললেন, তারপর হঠাৎ বলে বসলেন ঠিক আছে ফজলুর তুমি ফোন রাখ আমি আসছি। দশমিনিটের ভিতরে স্যার চলে আসলেন।এসেই বললেন যেহেতু ডায়াজিপাম দিয়ে ফেলেছো এখন আমাদের কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে নেক্সট স্টেপে যেতে হবে, স্যার ১৫ মিনিট রোগীর পাশে অপেক্ষা করলেন তারপর বললেন, এখন ফসফেন লোডিং শুরু করো।রোগিটা গরিব ছিল স্যার নিজে থেকে যাবতীয় পরীক্ষার ৫০% কমানোর জন্য স্লিপে সাইন করলেন।পরে যাওয়ার সময় আমাকে বললেন শোন," পার্টি গরীব, আমার ভিজিট তোলার দরকার নাই, ফ্রী করে দিও আর সকালে পেশেন্ট স্টেবল হলে ওসমানীতে রেফার্ড করে দিও, আজ আমার ইউনিটে ভর্তি আছে,এখানে এরা হসপিটালের বিল দিতে পারবে না"।এই ছিলেন আমাদের মঈন স্যার।
আসুন মেডিসিনে FCPS ও কার্ডিওলজিতে MD করা এই ডাক্তারকে আমাদের রাষ্ট্র কি দিয়েছে দেখি,
করোনাতে আক্রান্ত হয়ে স্যার যখন শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন সিলেটে, একসময় ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্যে স্যার এই রাষ্ট্রের কাছে একটি এয়ার এম্বুলেন্স চেয়েছিলেন, রাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে স্যার এয়ার এম্বুলেন্স পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন না, আমার সদাহাস্যজ্বল স্যার তারপর অনুনয় করে রাষ্ট্রের কাছে একটি আইসিউ এম্বুলেন্স চেয়েছিলেন, রাষ্ট্র কর্নপাতই করেনি।
অবশেষে স্যার নিজ উদ্যোগে একটি সাধারণ এম্বুলেন্সে কুর্মিটোলা হাসপাতালে রেফার হলেন এবং আজ সকালে রাষ্ট্রকে সকল দায়ভার থেকে মুক্তি দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
নাহ্,রাষ্ট্র কিছুই হারায়নি শুধু আমরা চিকিৎসকরা হারিয়েছি এফসিপিএস ও এমডি কমপ্লিট করা মানবিক একজন স্যারকে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন পিপিই ছাড়াই চিকিৎসা দিতে, এবার হয়েছেতো? আমরা সিলেটবাসী গরীবের ডাক্তার বলে পরিচিত এই রত্নকে হারিয়েছি, যে ডাক্তার নিজেই একটি আইসিইউ এর দায়িত্বে ছিলেন অথচ তার প্রয়োজনে তারই কর্মস্থলে আইসিইউ পাননি। শুধু তাই নয় তাকে ঢাকায় প্রেরন করার জন্য একটি এয়ার এম্বুলেন্স কেউ দেয়নি! আজ সেই মানব সেবক মারা গেছেন।এই তাহলে তিনমাস আগে থেকে নেয়া করোনা মোকাবেলার প্রস্তুতি? যেখানে পর্যাপ্ত পিপিই নেই, সিলেটে একটিও ভ্যান্টিলেটর নেই, এয়ার এম্বুলেন্স নেই,ICU নেই! এই দায়ভার কার?
★একজন সহকর্মীর ভাষ্য মতে, তার ব্যক্তিত্যের খন্ডক মাত্র তুলে ধরা হলোঃ
স্মৃতি খুব কষ্টের, মঈন স্যারের ইন্টার্ন ছিলাম, ইন্টার্নশিপ শেষ হলে স্যার যে হাসপাতালে চেম্বার করতেন ঐ হাসপাতালে ডিউটি ডক্টর ছিলাম।একদিন রাত ২টায় এক রোগী ভর্তি হলো প্রচন্ড খিচুনি নিয়ে। রিসিভ করেই স্যারকে ফোন দিলাম, স্যার ফোন ধরেই বললেন" ফজলুর আমিতো প্রায় বাসায় চলে আসছি,ম্যানেজ করতে পারবা না? আমি আমতা আমতা করে বললাম, স্যার ডায়াজিপাম দিয়েছি,রোগীটা খারাপ এখনও খিচুনি হচ্ছে দেখে গেলে ভালো হত স্যার। স্যার ওভার ফোনে কি কি করতে হবে কিছুক্ষণ বললেন, তারপর হঠাৎ বলে বসলেন ঠিক আছে ফজলুর তুমি ফোন রাখ আমি আসছি। দশমিনিটের ভিতরে স্যার চলে আসলেন।এসেই বললেন যেহেতু ডায়াজিপাম দিয়ে ফেলেছো এখন আমাদের কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে নেক্সট স্টেপে যেতে হবে, স্যার ১৫ মিনিট রোগীর পাশে অপেক্ষা করলেন তারপর বললেন, এখন ফসফেন লোডিং শুরু করো।রোগিটা গরিব ছিল স্যার নিজে থেকে যাবতীয় পরীক্ষার ৫০% কমানোর জন্য স্লিপে সাইন করলেন।পরে যাওয়ার সময় আমাকে বললেন শোন," পার্টি গরীব, আমার ভিজিট তোলার দরকার নাই, ফ্রী করে দিও আর সকালে পেশেন্ট স্টেবল হলে ওসমানীতে রেফার্ড করে দিও, আজ আমার ইউনিটে ভর্তি আছে,এখানে এরা হসপিটালের বিল দিতে পারবে না"।এই ছিলেন আমাদের মঈন স্যার।
আসুন মেডিসিনে FCPS ও কার্ডিওলজিতে MD করা এই ডাক্তারকে আমাদের রাষ্ট্র কি দিয়েছে দেখি,
করোনাতে আক্রান্ত হয়ে স্যার যখন শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন সিলেটে, একসময় ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্যে স্যার এই রাষ্ট্রের কাছে একটি এয়ার এম্বুলেন্স চেয়েছিলেন, রাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে স্যার এয়ার এম্বুলেন্স পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন না, আমার সদাহাস্যজ্বল স্যার তারপর অনুনয় করে রাষ্ট্রের কাছে একটি আইসিউ এম্বুলেন্স চেয়েছিলেন, রাষ্ট্র কর্নপাতই করেনি।
অবশেষে স্যার নিজ উদ্যোগে একটি সাধারণ এম্বুলেন্সে কুর্মিটোলা হাসপাতালে রেফার হলেন এবং আজ সকালে রাষ্ট্রকে সকল দায়ভার থেকে মুক্তি দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
নাহ্,রাষ্ট্র কিছুই হারায়নি শুধু আমরা চিকিৎসকরা হারিয়েছি এফসিপিএস ও এমডি কমপ্লিট করা মানবিক একজন স্যারকে।
No comments