Header Ads

Header ADS

ছুটি বাড়ছে : প্রধানমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় চলমান ছুটি আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেক্ষেত্রে আগামী ৯ তারিখ পর্যন্ত ছুটি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার গণভবন থেকে ৬৪ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে।

তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের ছুটিটা একটু বাড়াতে হবে। আমরা ১২ দিনের ছুটি দিয়েছিলাম এটা ১৪ দিন হতে পারে।’

কোয়ারেন্টাইনের সময় কত তারিখ পর্যন্ত হবে- এ সময় জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। তখন পাশে থেকে কোনো কর্মকর্তা জানান ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।

তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯ তারিখ পর্যন্ত...এই ছুটিটা সীমিত আকারে আমাদের বাড়াতে হবে। সেটা বাড়ানোর সাথে সাথে আমাদের সীমিত আকারে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করার জন্য সেখানে আমরা চিন্তা-ভাবনা করে বলব কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সেটা ছাড় দেব, চালু রাখা দরকার।’

দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি এবং তা মোকাবিলায় গত ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাথে আলোচনা করেন। এর আগে তিনি সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ১০ দিন ছুটিসহ দশটি সিদ্ধান্ত দেন।

ওইদিনই বিকেলে সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর এসব সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, আগামী ২৬ মার্চের সরকারি ছুটি এবং ২৭ থেকে ২৮ মার্চের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন এই বন্ধের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবার জন্য এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না।

এখন ছুটি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হলে এরপর ১০ ও ১১ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি, সেক্ষেত্রে অফিস খুলবে ১২ এপ্রিল।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সোমবারের (৩০ মার্চ) তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন। আর মৃতের সংখ্যা ৫ জন।

আরএমএম/এসএইচএস/জেআইএম

No comments

Powered by Blogger.